দেশি নিউজ-
কুমিল্লার লাকসাম থেকে চিনকি আস্তানা পর্যন্ত বিদ্যমান মিটারগেজ রেললাইনের পাশে তৈরি করা হয় ৬৪ কিলোমিটারের আরেকটি মিটারগেজ পথ। এ প্রকল্পে খরচ হয় প্রায় ২ হাজার কোটি টাকা। তবে আট বছর না যেতেই ঢাকা-চট্টগ্রাম-কক্সবাজার করিডোরের উন্নয়নে এই সেকশনসহ লাকসাম-পাহাড়তলী রেলপথকে ডুয়েলগেজ ডাবল লাইনে রূপান্তরে প্রকল্প নিয়েছে রেলওয়ে।
শুধু লাকসাম-চিনকি আস্তানা নয়, ২ হাজার ২১৬ কোটি টাকায় নির্মিত ৬৪ কিলোমিটার দীর্ঘ গাজীপুরের টঙ্গী-কিশোরগঞ্জের ভৈরব বাজার মিটারগেজ লাইনটিও তুলে ফেলা হচ্ছে। রেলপথটি চালু হয় ২০১৬ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি। এই সেকশনসহ টঙ্গী-আখাউড়া রেলপথকে ডুয়েলগেজে রূপান্তরে আরেকটি প্রকল্পের প্রস্তাব রয়েছে।
ডুয়েলগেজে রূপান্তরের দুই প্রকল্প নেয়ার ফলে মাত্র কয়েক বছর আগে চালু হওয়া ৪ হাজার ৩৬ কোটি টাকায় নির্মিত ১২৫ কিলোমিটার মিটারগেজ বাতিল হচ্ছে। অথচ রেললাইনের আয়ুষ্কাল ছিল ৩০-৩৫ বছর।
প্রকল্পের অর্থের সংস্থান না হলেও রেল কর্মকর্তারা বলছেন, মিটারগেজ রেলপথকে ব্রডগেজে রূপান্তরের দুটি প্রকল্প নেয়া হয়েছে। প্রকল্পটি বাস্তবায়নের জন্যই এমন সিদ্ধান্ত।
যোগাযোগ বিশেষজ্ঞরা বলছেন, রেলের উন্নয়ন নীতিমালা উপেক্ষা করেই মিটারগেজ প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে, যা পরিকল্পনাহীন উন্নয়নের উদাহরণ।
যোগাযোগ বিশেষজ্ঞ ও বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) অধ্যাপক মো. হাদিউজ্জামান বলেন, মাস্টারপ্ল্যানে যেখানে সুস্পষ্টভাবে বলা আছে যে অন্তর্বর্তীকালীন ব্যবস্থা হিসেবে ব্রডগেজের সংস্থান রাখতে হবে, সেখানে মিটারগেজ করা মানে একটা অপরিপক্ব পরিকল্পনা। এটা বিনিয়োগের একটা নিদারুণ অপচয়।
সবকিছুই হচ্ছে উন্নয়নের স্বার্থে দাবি করে রেলের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (অবকাঠামো) মো. আরিফুজ্জামান বলেন, মোটেই অপচয় মনে করি না। কারণ, এটা উন্নয়নশীল দেশের একটা ক্যারেক্টার। আপনার অবস্থা দিনদিন যখন ভালো হবে তখন এক জায়গা থেকে আরেক জায়গায় ট্রান্সফার করবেন। সেটাই স্বাভাবিক।
সুত্র-ডেইলি-বাংলাদেশ
WWW.DESHYNEWS24.COM/REGISTRATION NO-52472/2024
Leave a Reply