সিলেট (গোয়াইনঘাট) প্রতিনিধিঃ
গোয়াইনঘাট উপজেলায় অতিবৃষ্টি ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে সৃষ্ট আকস্মিক বন্যায় সিলেটের গোয়াইনঘাট উপজেলার ১৩ টি ইউনিয়নের হাওর ও নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে।
সারিঘাট-গোয়াইনঘাট সড়কের দুটি পয়েন্টে এবং গোয়াইনঘাট-রাধানগর-জাফলং সড়কের শিমুলতলা পয়েন্ট প্লাবিত হয়েছে। হাওরাঞ্চলের বাড়িঘরের মানুষ পানিবন্দী হয়ে পরেছে। রুস্তমপুর, লেংগুড়া, ডৌবাড়ি, নন্দীরগাঁও ইউনিয়ন, পূর্ব ও পশ্চিম আলীরগাও, পশ্চিম জাফলং, মধ্য জাফলংয়ে প্লাবনের পরিমাণ বেশি হয়েছে।
ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও মেম্বারগণ স্থানীয় ভলান্টিয়ার সহ আকস্মিক বন্যাজনিত দুর্যোগ ব্যবস্থাপনায় নিয়োজিত আছেন।
(২৯ মে, ২০২৪ ) বুধবার দুপুরের রিডিং অনুযায়ী গোয়াইনঘাট ব্রীজ পয়েন্টে পানির লেভেল ১০.১১ মিটার (বন্যাসীমা: ১০:৮২) এবং সারি ঘাট পয়েন্টে পানির লেভেল ১২.৮৮ ( বিপদ সীমা: ১২.৩৫) যা বিপদসীমার উপরে প্রবাহিত হচ্ছে।
পানি দ্রুত গতিতে বৃদ্ধি পাচ্ছে বিধায় বাড়ি ঘরে পানি ঢুকার সাথে সাথে সময় নষ্ট না করে সাথে সাথেই যেনো সবাই নিকটবর্তী আশ্রয়কেন্দ্রে আশ্রয় নিতে যায় সে লক্ষ্যে মানুষকে সচেতন হতে আহ্বান করা হচ্ছে। যে সকল এলাকায় ঝুঁকি পূর্ণ ও প্লাবিত হতে পারে সে সকল এলাকার ঘরবাড়ি, বাজার ও দোকান সমূহ থেকে জানমাল নিরাপদে সরিয়ে নেয়ার জন্য স্থানীয়দের সতর্ক করা হচ্ছে। উপজেলার ১৩ টি ইউনিয়নে মোট ৫৬ টি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রয়েছে। অতি ঝুঁকিপূর্ণ ও প্লাবণ প্রবণ এলাকায় আশ্রয়কেন্দ্রে জনগণকে দ্রুত অবস্থান নিতে মাইকিং করা হচ্ছে।
আগামী আরও ৩দিন ভারী বৃষ্টিপাত এর সম্ভাবনা রয়েছে বিধায় এইবার বন্যার মাত্রা প্রবল হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
বর্ণিত বিষয়াদি গুরুত্বের সাথে বিবেচনায় নিয়ে সকলকে জরুরি ভিত্তিতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য বিনীত অনুরোধ জানাচ্ছেন।
গোয়াইনঘাটের ইউএনও মো: তৌহিদুল ইসলাম উপজেলা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মনিটরিং সেলের অফিসারগণ ( পিআইও, কৃষি অফিসার, মৎস্য অফিসার, প্রাণিসম্পদ অফিসার) সহ জনপ্রতিনিধিদের নিয়ে বন্যা দুর্গত ও ঝুঁকিপ্রবণ এলাকা সমূহে জনপ্রতিনিধিগণ সহ সরেজমিনে কার্যক্রম পরিচালনা করছেন।