এম,মখলিছ খান, সিলেট-
সিলেটে অতি বৃষ্টিপাত ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে নিম্নান্চল প্লাবিত। ৪ টি পয়েন্টে পানি বিপদসীমার ওপরে, সতর্কতা জারী,তৃতীয় দফা বন্যার কবলে পড়তে হতে পারে সিলেট অঞ্চলের মানুষ কে।
বন্যাকবলিত মানুষ জানান ২য় দফা বন্যার রেষ না কাটতেই আবারও আমরা চরম অস্হিরতায় দিন পাত করছি।
জেলা প্রশাসকের তথ্যমতে, এখনো প্রায় সাড়ে ৮ হাজার মানুষ আশ্রয় কেন্দ্রে অবস্থান করছেন। কুশিয়ারার ১ টি পয়েন্টে পানি বিপদসীমার ওপরে বাঠা ছাড়া সব কটি পয়েন্টে কমতে শুরু করেছিলো, গতকাল সোমবার পুনরায় সুরমা,কুশিয়ারা, সারি নদীর ৪ টি পয়েন্টে বিপদ সীমা অতিক্রম করেছে পানি। এই পরিস্থিতিতে সীমান্তবর্তী উপজেলা গুলোতে বিশেষ সতর্কতা জারী করেছে প্রশাসন।
ভারতের চেরাপুঞ্জিতেসোমবার সকাল ৯ টা পর্যন্ত গত ৭২ ঘন্টায় বৃষ্টি পাত হয়েছে ৬৪০ মিলিমিটার। টানা বর্ষন ওউজানের ঢলে প্লাবিত হয়েছে সীমান্তবর্তী উপজেলা গোয়াইনঘাট,কানািঘাট ও কোম্পানিগঞ্জের আশ পাশ এলাকা। এদিকে তীব্র জলাবদ্ধতার আশংকা করা হচ্ছে সিলেট নগরী নিয়ে।
বিশেষ করে সিলেট নগরীর উপশহর,ঘাসিটুলা,মাছিমপুর,ছড়ারপার,তালতলা,চৌকিদেখী,
বাদামবাগিচা,সোবহানিঘাট,কালিঘাট,তালতলা, জামতলা,টুকের বাজার,মোগলগাও, শেখঘাট এলাকায় পানি উঠে যায়। গতকালের পানিতে ও তীব্র জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছিল নগরীর বেশী অংশ জায়গায়। গতকাল সোমবার সকাল থেকে সন্দা পর্যন্ত ১৫৬.৮ মিলিমিটার বৃষ্টি পাত হয়েছে। আগামী বুধবার পর্যন্ত সিলেটে ভারী বৃষ্টি পাত হওয়ার পূর্বাবাস রয়েছে।
সিলেট জেলা প্রশাসকের তথ্যমতে পাহাড়ি ঢল ও অতি বৃষ্টির কারণে গতকাল সোমবার পর্যন্ত সিলেটে ৭ লাখ ৩৩৬ জন মানুষ পানিবন্দি হয়েছেন। উল্লেখ্য গত ২৯ মে ভারি বৃষ্টি ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলের কারণে সিলেটে বন্যা দেখা দেয়।