ফজল উদ্দিন, ছাতক প্রতিনিধিঃ
সুনামগঞ্জের ছাতক উপজেলার নোয়ারাই ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডের সদস্য ফারুক মিয়া কর্তৃক খাদ্য সামগ্রী দেওয়ার নামে টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ করায় অসহায় নারীদের নিয়ে মানহানীকর বক্তব্যের প্রতিবাদে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বারকাহন, ভাটিপাড়া ও চরবাড়া গ্রামবাসীর ব্যানারে বৃহস্পতিবার সকাল ১১টায় সিলেট-দোয়ারাবাজার সড়কের বারকাহন গ্রাম সংলগ্ন এলাকায় এ মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়। প্রবীন মুরব্বী আফতাব মিয়া তালুকদারের সভাপতিত্বে মানববন্ধন চলাকালে প্রতিবাদ সভায় বক্তব্য রাখেন, সালেহ আহমদ, ছালিক মিয়া, সাজ্জাদ মিয়া, সাবেক মেম্বার নুর উদ্দিন, আহমদ আলী, আবদুল কাইয়ুম, রংফুল বিবি, তাজ বিবি, রাশেদা বেগম, খাইরুন নেছা, ফজিরুন বেগম, ফাতেমা বেগম, জামাল উদ্দিন, আবদুল আলম, লিটন মিয়া, মিন্টু মিয়া, সামছুদ্দীন, আলী আহমদ, ফখরুল ইসলাম, শাহনাজ বেগম, আকিক মিয়া, দিলোয়ার হোসেন, আকবর আলী, বোরহান উদ্দিন, মনাই মিয়া, আবু ইউছুব মিয়া, ছকিনা বেগম প্রমুখ।
মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সভায় বক্তারা বলেন, সরকারী বা বিভিন্ন এনজিও সংস্থা কর্তৃক ওয়ার্ডের যাবতীয় বরাদ্দের সিংহভাগ আত্মসাত করেন মেম্বার ফারুক মিয়া। তার বিরুদ্ধে ব্যাপক অনিয়ম-দূর্নীতি ও স্বজনপ্রীতির অভিযোগ রয়েছে। দুই দফা বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত ৬১টি পরিবারদের কাছ থেকে খাদ্য সামগ্রী দেওয়ার নামে ওই মেম্বার ১হাজার করে অর্ধলক্ষাধিক টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। এছাড়া ওই মেম্বার বিধবা ভাতা, বয়স্ক ভাতা, পঙ্গু ভাতা, মাতৃত্বকালিন ভাতা, গর্ভ ভাতা, দুগ্ধভাতাসহ সরকারী সকল ভাতা খেয়ে ফেলে। বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা তৈরি করে খাদ্য সামগ্রী দেওয়ার নামে অসহায় পরিবারদের কাছ থেকে জনপ্রতি ১হাজার টাকা করে নিলেও তাদেরকে কোন খাদ্য সামগ্রী দেওয়া হয়নি। এ বিষয়ে ২২জন স্বাক্ষরিত একটি লিখিত অভিযোগ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবরে দাখিল করা হলে উপজেলা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশলী মিজানুর রহমানকে প্রধান করে দুই সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। এ অভিযোগ করায় নারীদের বিরুদ্ধে অশালিন ও মানহানীকর বক্তব্য দিয়েছে ওই মেম্বার। এ জন্য তারা ওই মেম্বারের অপসারণসহ দৃষ্ঠান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান।