মেহেদী হাসান অপূর্ব (সিলেট) মহানগগর প্রতিনিধিঃ
দেশের বিভিন্ন স্থানে কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ওপর ছাত্রলীগের হামলার প্রতিবাদ ও বিচারের দাবিতে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) শিক্ষার্থীরা।
মঙ্গলবার (১৬ জুলাই) বিকেল থেকেই ক্যাম্পাসের গোলচত্বরে জড়ো হতে থাকেন আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা।
এই সময় সিলেটের বিভিন্ন জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়, সিলেট ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ,ও বিভিন্ন প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা শাবিপ্রবির মুল ফটকের বাঁধা অতিক্রম করে গোল চত্ত্বরে শাবিপ্রবি শিক্ষার্থীর সাথে মিলিত হয়।
এর পরে বিক্ষোভকারী শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন স্লোগান দেন ‘আমার ভাইয়ের ওপর হামলা কেন, প্রশাসন জবাব চাই’, ‘দালালি না রাজপথ, রাজপথ রাজপথ’, ‘চাইতে গেলাম অধিকার, হয়ে গেলাম রাজাকার’, ‘সাস্টিয়ান সাস্টিয়ান, এক হও লড়াই করো’ ইত্যাদি স্লোগানে ক্যাম্পাস মুখরিত করে তুলে। তখন শিক্ষার্থীরা ছেলেদের হলের দিকে যেতে চাইলে হলের প্রভোস্টগন তাদের আটকিয়ে একটি সমঝোতা করেন। তারা শিক্ষার্থীদের আশ্বাস দেন যে হলের শিক্ষার্থীদের তারা নিরাপত্তা নিশ্চিত করবেন। প্রভোস্টদের কথায় সম্মত হয়ে শিক্ষার্থীরা মিছিল নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের মুল ফটকের সামনে এসে সিলেট-সুনামগঞ্জ সড়ক অবরোধ করে। প্রায় ১ ঘন্টা সিলেট - সুনামগঞ্জ সড়ক অবরোধ করে রাখে শিক্ষার্থীরা।
[video width="848" height="480" mp4="https://www.deshynews24.com/wp-content/uploads/2024/07/VID-20240716-WA0064.mp4"][/video]
এসময় সিলেট ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের শিক্ষার্থী মাহবুব বলেন আজ আমরা শাবিপ্রবিতে এসেছি আমাদের ভাইদের পাশে দাঁড়াতে। আপনারা দেখতে পাচ্ছেন সারাদেশে ছাত্রলীগের গুন্ডা বাহিনী এবং পুলিশবাহিনী আমাদের ভাইদের নির্মমভাবে হত্যা করেছে। পশুদের মত পিটিয়ে আহত করেছে। যা দেখে আমাদের রক্ত শিহরিত হচ্ছে। এটা শুধু বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইবোনদের আন্দোলন নয়। এটা এখন জাতীর আন্দোলন। আমরা ১৯৭১ সালে স্বাধীন হয়েছি। কিন্তু এখনও আমাদেরকে পরাধীনতার শিকলে বন্ধি করে রাখা হয়েছে। এই পরাধীনতার শিকল থেকে মুক্তি পেতে হলে আমাদের সবাইকে সঙ্ঘবদ্ধ ভাবে আন্দোলন চালিয়ে যেতে হবে।
এসময় বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল ফটকের সামনে আন্দোলনস্থলে সিলেট-সুনামগঞ্জ মহাসড়কে পুলিশ এবং কুইক রেসপন্স টিমের (সিআরটি) সদস্যরা উপস্থিত রয়েছেন। দীর্ঘ ১ ঘন্টা সড়ক অবরোধ করে রাখার পর বিক্ষোভ সমাপ্তি করে শুধু শাবিপ্রবির শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রবেশ করে এবং অন্যান্য শিক্ষার্থীরা তাদের নিজেদের বাসস্থানে ফিরে যায়।