দেশি নিউজ-
কোটা সংস্কার আন্দোলন ২০২৪ বাংলাদেশের এক গুরুত্বপূর্ণ সামাজিক ও রাজনৈতিক ঘটনা। এটি দেশের শিক্ষার্থী, চাকরিপ্রার্থী এবং তরুণ সমাজের মধ্যে ব্যাপক সাড়া ফেলেছে। আন্দোলনটি সরকারি চাকরি এবং শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বিদ্যমান কোটা ব্যবস্থার সংস্কারের দাবি জানায়। চলমান এই আন্দোলন মেধাবী প্রার্থীদের জন্য একটি ন্যায়সঙ্গত ও সামঞ্জস্যপূর্ণ নিয়োগ প্রক্রিয়া প্রতিষ্ঠার আহ্বান জানায়। কিন্তু বর্তমান আওয়ামিলীগ সরকারের সর্বোচ্চ জায়গা থেকে কোটা সংস্কার ও বৈষম্য বিরোধী ছাত্রছাত্রীদের রাজাকারের সন্তান ও রাজাকারের নাতিপুতি বলে কটাক্ষ করা হলে এবং এবং ছাত্রলীগ ও পুলিশ দিয়ে সাধারণ ছাত্র-ছাত্রীদের দমনপীড়নের চেস্টা করা হলে এতে সাধারণ ছাত্রদের মধ্যে রংপুরে আবু সাঈদ নামে একজন পুলিশের গুলিতে নিহত হওয়ার পর এ বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনে ছাত্র ছাত্রীদের সাথে সর্বসাধারণ মানুষও এ আন্দোলনে যোগ দিলে এতে একটি গণবিস্ফোরণে পরিনত হয়। এ গণবিস্ফোরণ ঠেকাতে গিয়ে পুলিশ, বিজিবি, ছাত্রলীগ ও পরিশেষে কারফিউ দিয়ে সেনাবাহিনীকে মাঠে নামানোর পর এ আন্দোলনকে কিছটা দমানো গেলেও ১৮ জুলাই ২০২৪ ইং থেকে আজ ৩১ জুলাই ২০২৪ ইংরেজীও কারফিউ সহ সেনাবাহিনী মোতায়েন রয়েছে।
এমতাবস্থায় বাংলাদেশ জনতা পার্টীর চেয়ারম্যান ঢাকায় সংঘাত নয় শান্তি চাই,সেনাবাহিনীর কার্যকর ভূমিকা চাই এমন শ্লোগান সংবলিত হ্যান্ডবিল জনসাধারণের মাঝে বিতরণ করেন। এতে বাংলাদেশ জনতা পার্টির নেতা ও কর্মীগন উপস্থিত ছিলেন।তিনি জনাব বীর মুক্তিযোদ্ধা জি এম কেরামত আলী বলেন, দেশের এই পরিস্থিতিতে বৈষম্য বিরোধী ছাত্রছাত্রীদের আন্দোলন চলাকালে হঠাৎ অনাকাংখিত ভাবে প্রশাসন এবং ছাত্রজনতার মাঝে সংঘাতের মাধ্যমে যে পরিমান প্রাণহানী ও মালামালের ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে তা ইতিহাস হয়ে চিরকাল থাকবে। আমরা এহেন অনাকাংখিত নেককার জনক ঘটনার নিন্দা জানাই। সাথে একটি নিরপেক্ষ তদন্ত কমিটির মাধ্যমে সেতপত্র প্রকাশ ও দুষি ব্যাক্তিদের আইনের আওতায় এনে বিচারের ব্যবস্থা করার দাবি জানাচ্ছি।
শুধু তাই নয় বর্তমানে যে দুই পক্ষ বিপক্ষে বিভক্ত হয়ে সংঘাত সংগঠিত হয়েছে ছাত্রজনতা অন্য পক্ষ্য ক্ষমতাশিন ও প্রশাসন যার কারনে আজ সারা বাংলাদেশের শান্তিপ্রিয় নিরীহ জনসাধারন মারাত্মক আতঙ্কে রাতদিন অতিবাহিত করছে। সংঘাতের পরবর্তি সময়ে প্রশাসন যে গণ গ্রেফতার করছে তার মাঝে নিরীহ জনগণ হয়রানির শিকার হচ্ছে বর্তমানে চলা ছাত্র জনতা বনাম প্রশাসনের এই সংঘাত ময় পরিবেশে নিরীহ জনসাধারণ দেশ ও জাতির সংকটময় মূহুর্তে সারা পৃথিবীতে শান্তি প্রতিষ্ঠায় জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা বাহিনীর বৃহৎ অংশ আমার দেশের শান্তিপ্রিয় দেশপ্রেমিক সেনাবাহিনী বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সংকট মিটিয়ে শান্তি প্রতিষ্ঠা করা সুনামের সাথে দ্বায়িত্ব পালন করে আসছে। তাই বাংলাদেশ জনতা-পার্টি মনে করে বর্তমানে বাংলাদেশে যে সংকট সৃষ্টি হয়েছে তা থেকে দেশ ও জাতিকে একমাত্র দেশপ্রেমিক সেনাবাহিনীর কার্যকর ভূমিকাই মুক্তি এনে দিতে পারে। তারা শান্তি রক্ষা মিশনে জাতিসংঘের মাধ্যমে যে প্রশিক্ষন গ্রহন করে দ্বায়িত্ব পালন করে পৃথিবীতে তার চেয়ে উন্নত আর কোনো প্রশিক্ষন নাই তাই বাংলাদেশ জনতা-পার্টি জনসাধারনের পক্ষ থেকে আমার দেশের গর্ব সারা বিশ্বে জাতিসংঘ কর্তৃক পরিচালিত শান্তি রক্ষা বাহিনী সর্ববৃহৎ অংশগ্রহন কারী বাংলাদেশ সেনাবাহিনী নিজের দেশের সংঘাতময় পরিবেশ থেকে শান্ত পরিবেশ তৈরী করতে কার্যকরী ভূমিকা রাখবে বলে আমরা আশাবাদী।