কাইয়ুম চৌধুরী,সীতাকুণ্ড(চট্টগ্রাম)প্রতিনিধিঃ
সংসারের হাল ধরতে মধ্যপ্রাচ্য গিয়ে দেমের জনগনের সাথে একাত্বতা ঘোষনা করতে গিয়ে আবুধাবির আইনে ১০ বছর সাজারপর বর্তমান সরকারের প্রধানের অনুরোধে রেহাই পেয়ে নিজের দেশে মায়ের কোলে ফিরে আসলেন সীতাকুণ্ড উপজেলার বাড়বকুণ্ড ৫ নম্বর ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের নতুন পাড়া গ্রামের প্রবাসী মোহাম্মদ রফিকুল হাসান বাবু। তিনি ওই নতুন পাড়া গ্রামের মোঃ রোস্তম আলীর ছেলে।
বাবু আমাদের সময় কে জানান, ২০১০ সালের সালের জানুয়ারি ১২ তারিখ সর্বপ্রথম আমি বিদেশের আবুধাবি আলাইনের সানাইয়া শহরের একটি কোম্পানিতে
ইলেকট্রিক মিস্ত্রি হিসেবে যোগদান করেন।
সে হিসেবে দীর্ঘ ১৫ বছর যাবত খুব শুনামের সাথে কোম্পানীতে কাজ করে আসছেন তিনি।
এছাড়া সময় বুঝে ওই এলাকায় ড্রাইভিং ও পার্সেলের কাজ ও করেছেন বাবু। সে হিসেবে খুব সুন্দর ভাবে চলছিল তার প্রবাস জীবন। এরই মধ্যে বিগত ১৫-বছরে নিজের দেশে প্রায় ১০-১২ বার আসার যাওয়ার সুযোও হয়েছে তার।
সর্বশেষ চলতি বছরের ২২ ফেব্রুয়ারিতে প্রবাস থেকে দেশে ফিরে ৪ মাস ছুটি কাটিয়ে জুন মাসের ২২ তারিখে আবারো বিদেশে পাড়ি জমান রফিকুল হাসান বাবু।
এদিকে কোটা ও পরে দেশে সরকার পতনের আন্দোলনে দেশের অনেক ছাত্র জনতা হত্যা শিকার হচ্ছে, ন্যাট না থাকায পরিবারের সাথে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হযে পড়ায এবং দেশে শান্তি-শৃঙ্খলা ফিরে আসার লক্ষে রফিকুল হাসান বাবুসহ ওই শহরে মানববন্ধনের আয়োজন করেন ওখানকার কিছু প্রবাসী।
তাদের মানববন্ধন আয়োজকদের ইচ্ছে ছিল শান্তিপূর্ণভাবে মানববন্ধন করা। কিন্তু তাদের সকলকে
প্রশ্নবিদ্ধ করার জন্য কিছু বহিরাগত দুষ্কৃতিকারী
ওই মানববন্ধনে অংশগ্রহণ করে হঠাৎ বিশৃঙ্খলা ও মিছিল শুরু করে।
তিনি আরো বলেন, আমরা চেয়েছি শান্তিপূর্ণভাবে মানববন্ধন করার। কিন্তু তা হয়নি । হয়েছে উল্টোটা।
আবুধাবিতে মানববন্ধন ও মিছিল করার আইনে নেই।
কিন্তু ওই দেশের পুলিশ কাউকে তাৎক্ষণিক ভাবে গ্রেফতার করেনি। পরে পর্যায়ক্রমে কয়েকজন করে করে গ্রেফতার
শুরু করে তারা।
তবে যারা এ মানববন্ধনে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করেছে তাদের কেউ গ্রেফতার হয়নি। তারা
ঘটনা ঘটিয়ে তাৎক্ষণিকভাবে
পালিয়ে যায়।
আর আমাদের মধ্যে যারা গ্রেফতার হয়েছেন তাদের কাউকে দশ বছর এবং ২৫ বছর করে সাজা দেওয়া হয়।
আর আমাকে দিয়েছে ১০ বছর সাজা।
এদিকে এ ঘটনার খবর দেশ-বিদেশের বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রিক মিডিয়ায় খবর প্রকাশিত হলে
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস এর আন্তরিকতায় গ্রেফতারকৃতদের আংশিক ৫৭ জনকে সাজা মুক্ত করা করা হয় তখন। তিনিও জাসতেননা
এই ঘটনায় সেই দেশের পুলিশ প্রায় ৪ ( চার) শতাধিক প্রবাসীকে আটক করেছে।তিনি সকল আটক প্রবাসীর মুক্তি পেতে সরকারের কাছে অনুরোধ জানান।
আটককৃত তাদের মধ্যে আমরা আরব আমিরাত এয়ারলাইন্স বিমানে করে প্রতম ২২ জন
দেশে ফিরে আসি।
তারমধ্যে ঢাকা বিমানবন্দরে নেমে যায় ১০ জন ও
চট্টগ্রাম শাহ আমানত বিমানবন্দরে এসে ১২ জন অবস্থান করি ।
এ বিষয়ে প্রবাসী রফিকুল হাসানের মমতাময়ী মা শামসুন্নাহার বেগম কান্নারত অবস্থায় বলেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সম্মানিত
প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে অনেক ধন্যবাদ জানাই ও আমি কৃতজ্ঞ।
তিনি না হলে আজ আমার ছেলে ১০ বছর পর্যন্ত বিদেশের জেলে থাকতে হতো।
বলতে গেলে আমার ছেলে নতুন জীবন ফিরে পেয়েছে। আমার ছেলের একটি ছেলে ও একটি মেয়ে রয়েছে। মহান আল্লাহর রহমতে আমার ছেলে আমার কাছে ফিরে এসেছে এটি আমার কাছে অনেক নেয়ামত।
বাকি যারা আটককৃত বা সাজা মুক্ত হয়ে আবুধাবিতে আছেন আছেন তাদেরও দেশে ফিরিয়ে আনার জন্য সরকারের কাছে অনুরোধ জানাচ্ছি।