সীতাকুণ্ড প্রতিনিধিঃ
চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডের বড়দারোগাহাট হাটের হাসিল তুলা নিয়ন্ত্রণ নিতে যুবদলের দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এ সময় এক পক্ষের লোকজন ফাঁকা গুলি ছোড়ে এবং একটি মোটরসাইকেল আগুনে পুড়িয়ে দিয়ে একটি মোটর সাইকেল জ্বালিয়ে দেয়,দুই পক্ষের সংঘর্ষের ঘটনায় বাজারের লোকজনের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়লে দিক বেদিক ছুটাছুটি শুরু হয় দোকানপাট বন্ধ করে দেয়। গতকাল বৃহস্পতিবার হাটবারে এ ঘটনা ঘটে।এসময়
সেনাবাহিনীর সদস্যরা খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে রাত সাড়ে সাতটায় পর্যন্ত অভিযান চালিয়ে অস্ত্রসহ তিনজনকে আটক করেছেন। পরে আটককুতদেন কে রাত ১০ টায় সীতাকুণ্ড থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়। আটককুতরা হলো বারৈয়ারঢালা ইউনিয়নের উত্তর রহমত নগরের বাসিন্দা নুরুল ইসলাম( ৩০) মোহাম্মদ জয়নাল আবেদীন (২৮)ও জহিরুল ইসলাম(২৬)।
পুলিশ ও বড়দারোগাহাট বাজারের ব্যবসায়ীরা প্রতিনিধি কে জানান, বাজার দখলকে কেন্দ্র করে বারৈয়ারঢালা ইউনিয়ন বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক নুরুন্নবী সালাম ও যুবদলের চট্টগ্রাম উত্তর জেলা কমিটির সহ সভাপতি মোহাম্মদ ইসমাইলের পক্ষের মধ্যে এ ঘটনা ঘটেঁঁছে।
সীতাকুন্ডের বড়দারোগাহাট বাজার উপজেলার সবচেয়ে বড় পাইকারি বাজার,সপ্তাহে দুদিন সোম ও বৃহস্পতিবার এখানে পাইকারি হাট বসে। কৃষকেরা তাদের তরি তরকারী উৎপকদিত পন্য এই বাজারে বিক্রি করতে নিয়ে আসে।
বাজারটবর চলমান ইজারাদার বারৈয়ারঢালা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি সাইদুল ইসলাম। ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর তিনি এলাকা ছেড়ে গা ঢাকা দেন।সে এলাকার একটি সন্ত্রাসী গ্রুপের প্রধার।
বাজারের ব্যবসায়ীরা আরো জানায়, বৃহশপণতিবার হাটবারে হাটে হাসিল তুলছিলেন নতুন ইজারা পাওয়া লোকজন। এ সময় আরেক পক্ষ নুরনবীর লোকজন এসে হাসিল তুলতে বাধা দেয়। এতে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে। এ সময় নুরনবীর পক্ষ ফাঁকা গুলি ছুড়তে থাকে এবং একটি মোটরসাইকেল জ্বালিয়ে দেয়।
চট্টগ্রাম উত্তর জেলা যুবদলের সহসভাপতি মো. ইসমাইল প্রতিনিধি কে বলেন, হাটের ইজারাদার আওয়ামী লীগ নেতা সাইদুল ইসলামের কাছ থেকে বাজারটি মিরসরাইয়ের বিএনপি নেতা তোবারক আলী দায়িত্ব বুঝে নেন। আমরা তাঁর কাছ থেকে বাজারটি নিয়ে ছোট ছোট অংশে ভাগ করে উন্মুক্ত ডাকের মাধ্যমে ইজারা দিয়েছি। আজ হাটবারে ইজারাদারেরা হাসিল তুলতে গেলে নুরুন্নবী সালামের লোকজন বাধা দেন। একপর্যায়ে তাঁরা অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে হাসিল তুলতে যাওয়া লোকজনের ওপর হামলা করেন। সাইদুলের ফেলে যাওয়া অস্ত্রগুলো ব্যবহার করে নুরুন্নবী সালাম এই হামলা চালান বলে তিনি দাবী করেন। আটককৃত তিনজনই নুরুন্নবী সালামের অনুসারী বলে তিনি জানান।
এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন নুরুন্নবী সালাম। তিনি প্রতিনিদিকে বলেন, আমি একজন ব্যবসায়ী। দারোগাহাট বাজারের ইজারার সঙ্গে সম্পৃক্ত নন। কিন্তু তিনি শুনেছেন বড়দারোগাহাটে দুই পক্ষের হামলার ঘটনায় তাঁকে জড়িয়ে বক্তব্য দিচ্ছেন যুবদল নেতা মো. ইসমাইল। তিনি ওই ঘটনার সঙ্গে কোনোভাবেই জড়িত নয়।
সীতাকুণ্ড থানার এস আই রাজীব পোদ্দার জানায়, বাজার দখলকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের সংঘর্ষের ঘটনায় একটি একনলা বন্দুকসহ তিনজনকে আটক করেছেন সেনাবাহিনীর সদস্য ও স্থানীয় লোকজন। পরে রাত ২০ টায় আটককুতদের কে পুলিশের কাছে সোপর্দ করেছে। এ ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে অস্ত্র আইনে একটি মামলা দায়ের করছে আজ শুক্রবার সকালে।
WWW.DESHYNEWS24.COM/REGISTRATION NO-52472/2024
Leave a Reply