নিজস্ব প্রতিনিধিঃ
বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন চাঁদপুর শাখার পরিচয় দিয়ে চাঁদপুর সিটি কলেজের অধ্যক্ষ জনাব শহিদুল ইসলাম সহ অফিস সহকারী রহমতুল্লাহকে ১৮/০৮/২০২৪ তারিখে চরম শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করিয়া জোরপূর্বক পদত্যাগ পত্র সহ ৬টি অলিখিত স্ট্যাম্পে ও তিনটি অলিখিত ব্যাংক চেকে ভুক্তভোগী অধ্যক্ষের স্বাক্ষর নিয়ে , কলেজের সকল চাবি, প্রভাষক মন্ডলী ও কর্মচারীদের নিয়োগ পত্র, এমপির জন্য তৈরিকৃত ফাইলপত্র, ২০১৫ সাল থেকে অদ্যবধি আয় ব্যয়ের হিসেব-নিকেশ ফাইল ও সকল রেজুলেশনের বই, সব হাজিরা খাতা রাখিয়া জোরপূর্বক কলেজ হইতে চলিয়া যেতে বাধ্য করা হয়। এই অসভ্য ও চরম অমানবিকি কাজটি করে সম্পূর্ণ প্রতিহিংসাবশত এবং পূর্ব শত্রুতার জের ধরিয়া উক্ত কলেজের শিক্ষক মোজাহার হোসেন চৌধুরী, ক্লার্ক হাবিবুর রহমান, রসায়নের ব্যবহারিক শিক্ষক হাবিব খান, ল্যাব সহকারী পারভেজ মজুমদার, অফিস সহকারী মনির সহ কয়েকজন শিক্ষক কর্মচারী। উক্ত শিক্ষক ও কর্মচারীরা কর্তৃক পূর্ব পরিকল্পিতভাবে উক্ত কলেজের কিছু ছাত্র ছাত্রীকে অধ্যক্ষ সম্পর্কে ভুল বুঝাইয়া এবং বহিরাগত কিছু উচ্ছৃংখল ছেলেদেরকে ভাড়া করিয়া আনিয়া এই অসভ্য কাজটি করিয়া বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন চাঁদপুর শাখার ছাত্রদের উপর দোষ চাপানোর দোষ চাপিয়ে দিয়েছেন। মোজাহের হোসেন চৌধুরী বর্তমানে নিজেকে উক্ত কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ বলিয়া সবাইকে পরিচয় দিতেছেন । আর কলেজের ক্লার্ক পদে হাবিবুর রহমান চাঁদপুর সিটি কলেজে কর্মরত থাকিয়া চাঁদপুর অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা) কে ভুল বুঝাইয়া নিজেকে প্রভাষক পরিচয় দিয়া কলেজের নবগঠিত এডক কমিটিতে শিক্ষক প্রতিনিধি হয়েছেন।
চাঁদপুর সিটি কলেজে ঘটে যাওয়া এমন অসভ্য কর্মকাণ্ডের বিষয়ে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের চাঁদপুর জেলা শাখা সহ বাংলাদেশের অন্য কোন জেলা বা কোন উপজেলা শাখার বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কোন নেতা কর্মী এবং ছাত্ররা কোন ভাবে জড়িত নয় মর্মে চাঁদপুর বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন চাঁদপুর শাখায় যোগাযোগ করলে জানানো হয়। এমনকি এই ঘটনার সাথে ছাত্রদল বা ছাত্রশিবির, বিএনপি জামাতের কোন নেতাকর্মি জড়িত নয় বলে জানা যায়।
সরজমিনে জানা যায় চাঁদপুর সিটি কলেজের অধ্যক্ষ মোঃ শহিদুল ইসলাম কিংবা অফিস সহকারী রহমতুল্লাহর বিষয়ে চাঁদপুর জেলা শাখা বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে কোন ধরনের মতবিরোধ কিংবা অধ্যক্ষ ও অফিস সহকারিকে অপসারণ কিংবা জোরপূর্বক পদত্যাগ পত্র, ৬টি অলিখিত স্ট্যাম্পে ও তিনটি অলিখিত ব্যাংক চেকে অধ্যক্ষের স্বাক্ষর নেওয়া অথবা জোরপূর্বক শারীরিক মানসিক নির্যাতন করে কিংবা পদত্যাগে বাধ্য করিতে কোন ধরনের ইচ্ছা নাই অথবা ছিল না।
বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন সহ বিএনপি জামাতের পক্ষ থেকে চাঁদপুর সিটি কলেজের অধ্যক্ষ সহ অফিস সহকারি রহমত উল্লাহর ১৮/০৮/২৪ তারিখে ঘটে যাওয়া চরম সম্পূর্ণ বেআইনি ও অনৈতিক কাজের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে উক্ত ঘটনার সাথে জড়িত দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করা হয় ।
চাঁদপুরের বিভিন্ন মহল থেকে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের চাঁদপুর জেলা শাখার প্রধান সমন্বয়কসহ অন্যান্য সমন্বয়কারী এবং বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাথে জড়িত সকল সাধারণ ছাত্র ছাত্রীদেরকে উক্ত সম্পূর্ণ বেআইনি ও অনৈতিক কাজের বিষয়ে জরুরী মিটিং করিয়া আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য অনুরোধ জানানো হয় ।
উল্লেখ্য উক্ত চরম অসভ্য ঘটনার ভিডিও ফুটেজ ধারণ ও ছবি তুলিয়া নামে বেনামে বিভিন্ন ফেসবুক থেকে পোস্ট করেন ঘটেনার মূলহোতা শিক্ষক মুজাহার হোসেন চৌধুরী সহ কয়েকজন শিক্ষক কর্মচারী ও বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন চাঁদপুর জেলার জেলা শাখার সদস্য হিসেবে ভুয়া পরিচয় দানকারী বহিরাগত কয়েকজন উৎশৃংখল যুবক।
চাঁদপুর সিটি কলেজের অধ্যক্ষ আর জীবদ্দশায় কখনো আওয়ামীলীগের রাজনীতির সাথে কোনভাবে জড়িত ছিলেন না। শুধুমাত্র কলেজটি এমপিও করিবার জন্য ভুক্তভোগী অধ্যক্ষ জনাব শহিদুল ইসলাম ওরফে জাহাঙ্গীর আলম চাঁদপুর সিটি কলেজের প্রভাষক মণ্ডলী ও কর্মচারীদের মতামতের ভিত্তিতেই আওয়ামী লীগ নেতা সুজিত রায় নন্দী কে উক্ত কলেজের সভাপতি করিয়াছেন। তাছাড়া বর্তমান তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় প্রজ্ঞাপন জারির মাধ্যমে বাংলাদেশের এসব সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে সভাপতিদের অপসারণ করা হয়েছে।
প্রকৃতপক্ষে চাঁদপুর সিটি কলেজের অধ্যক্ষ মোঃ শহিদুল ইসলাম ওরফে জাহাঙ্গীর আলম বাংলাদেশের কোন রাজনৈতিক দলের রাজনীতিতে জড়িত ছিলেন না এবং বর্তমানেও নাই ।
জানা গেছে উক্ত চরম অসভ্য ঘটনার সময় চাঁদপুর সিটি কলেজের অধ্যক্ষ মোঃ শহিদুল ইসলাম ওরফে জাহাঙ্গীর আলম তাৎক্ষণিক অসুস্থ হইয়া পড়িলে অবস্থার বেগতিক দেখিয়া ঘটনা সাথে জড়িত সবাই অপকৌশলে অধ্যক্ষকে রিকশায় তুলিয়া দিয়া তাহার বাসায় প্রেরণ করেন।
এই ঘটনা নিষ্পত্তির জন্য চাঁদপুর জেলা বিএনপির নেতা আক্তার মাঝি, চাঁদপুর পৌরসভার ৯ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর এবং বিএনপি নেতা জনাব চান্দা মাজিসহ অনেকে চেষ্টা করিলেও ঘটনার সাথে জড়িত এবং ঘটনার মূল হোতা কথিত ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মুজাহের হোসেন চৌধুরী সহ অন্যান্যরা কোনভাবে রাজি হয়নি। বরং শাক দিয়ে মাছ ঢাকার চেষ্টা করিয়া ঘটনার সাথে জড়িতরা এলোমেলো কথা বলে যাইতেছেন। তাদের ধারাবাহিক হুমকি-দমকি ও বিভিন্নভাবে ভয় ভীতি প্রদর্শনের কারণে উক্ত ঘটনার সাথে জড়িত নয় চাঁদপুর সিটি কলেজে কর্মরত এমন প্রভাষকগণ ঘটনার সত্যতা নিয়ে মুখ খুলতে সাহস পাইতেছেন না।
উক্ত বিষয়ক ভুক্তভোগী অধ্যক্ষ জনাব শহিদুল ইসলামের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি কান্না জড়িত কন্ঠে ন্যায় বিচার পেতে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের হস্তক্ষেপ কামনা করেন।
উক্ত ঘটনার মূল হোতা মোজাহার হোসেন চৌধুরী গংদের সাথে যোগাযোগ করলে তাহারা ঘটনায় বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের উপর দোষ চাপান।
WWW.DESHYNEWS24.COM/REGISTRATION NO-52472/2024
Leave a Reply