সীতাকুণ্ড (চট্টগ্রাম) সংবাদদাতাঃ
সীতাকুণ্ডে প্রগতি ইন্ডাষ্ট্রিজে গাড়ি উদ্ভোধন উপলক্ষে শিল্প উপদেষ্টার সামনে বিএসইসি চেয়ারম্যান ও এমডির বিরুদ্ধে দূর্ণীতির অভিযোগ উঠার ভয়ে সিকিউরিটি গার্ড দিয়ে এস আর ট্রাক্টরস লিমিটেডের এমডিকে রাস্তার উপর ফেলে দিয়ে সাংবাদিকদেরকে কারখানায় প্রবেশে বাধা ও ধাক্কাধাক্কি দিয়ে নাজেহাল করা হয়েছে।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়,গত শুক্রবার দুপুর ১২টায় প্রগতি ইন্ডাস্ট্রিজের নতুন গাড়ি সেল উদ্ভোধন উপলক্ষে শিল্প উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খাঁন আসার আগেই কারখানার গেইট সংলগ্ন রেল গেইটের সামনে রাস্তার উপর এস আর ট্রাক্টরস লিমিটেডের এমডি সামছুল হুদা দূর্ণীতি গ্রস্হ " বিএসইসি ও প্রগতি বোর্ডের চেয়ারম্যান ডঃ মনিরুজ্জামান খাঁন ও এমডি আবুল কালাম আযাদের বিরুদ্ধে অপসারণ চাই " একটি ব্যানার টাঙ্গিয়ে পাশে লোকজন নিয়ে বসে আছে।উপদেষ্টাকে এষ্কট দেয়া পুলিশের গাড়ি রেল গেইটের সামনে আসার সাথে সাথে পূর্ব পরিকল্পিত এমডির নির্দেশে সিকিউরিটি গার্ডরা সামছূল হুদাকে ধাক্কা দিয়ে রাস্তার উপর ফেলে দেয়।উপদেষ্টার গাড়ি কারখানায় প্রবেশের সাথে সাথে গেইট লাগিয়ে দেয়।নিউজ কাভারেজ করতে সাংবাদিকদের প্রবেশ না দিয়ে নাজেহাল করে।পরে সামছূল হুদা সাংবাদিকদের কাছে লিখিত একটি বক্তব্য তুলে ধরেন,তিনি বলেন প্রগতির এমডি এবং চেয়ারম্যান মিলে এরা এই প্রতিষ্ঠানকে দূর্ণীতির আখড়া বানিয়ে আজ ধ্বংস করে দিচ্ছে।তিনি আরো জানান,আবুল কালাম আযাদ আওয়ামীলীগ সরকারের শিল্প মন্ত্রী নূরুল মজিদ হুমায়ুনের ছেলে যুবলীগ নেতা সাদীর তদবীরে প্রগতির এমডির দায়িত্বে বসেন। দায়িত্ব নেয়ার পর থেকে সে অযথা বিভিন্ন প্রকল্প তৈরী করে অলাভ জনক খাত বাস্তবায়নের মধ্যে দিয়ে প্রতিষ্ঠানের মুনাফার টাকা গুলো একচ্ছত্র ভাবে খরচ করে যাচ্ছে। যেমন ঢাকা তেজগাঁও আঞ্চলিক বিক্রিয় ও বিপনন কার্যালয়ে অযথা পুরাতন সেডে রং চুল লাগানোর জন্য প্রকল্প বানিয়ে ৮০ লাখ টাকা খরচ দেখায়।প্রগতিতে সার্ভিস সেন্টারের ভিত্তির জায়গা দেখতে চেয়ারম্যান আসা উপলক্ষে মঞ্চ নির্মাণ ও গাছ লাগানো বাবত ১৫ লাখ টাকা ব্যয় ভাউচার বিল করেন।আবার সার্ভিস সেন্টার নির্মাণ প্রকল্প গ্রহণ এবং চেয়ারম্যান ডঃ মনিরুজ্জামান সেটির ভিত্তি স্হাপন করাসহ ১৫ লক্ষ টাকার খরচ দেখায়।আমি তাদের দূর্ণীতির প্রতিবাদ করায় এরা দুইজনে মিলে আমার পাওনা ১৩ কোটি টাকা পরিশোধ করছে না। তারা বর্তমানে শিল্প মন্ত্রীকে দিয়ে যে গাড়ি উদ্ভোধন করাচ্ছেন তাতে তারা সাগর চুরি করার কাজে নেমেছেন।কারণ তারা কেয়া মটর্স ও সাউথ কোরিয়া (যৌথ)'র সাথে প্রগতি চুক্তি করে যে গাড়ি ক্রয় করাসহ সব মিলিয়ে একটা গাড়ির দাম পড়ে প্রায় ৯০ লাখ টাকার মত। কিন্তু এত দামে গাড়ি ক্রয় করে বাহিরে পাবলিকের কাছে বিক্রয় করা সম্ভব হবে না।তখন সরকারও বিশাল লোকসানে পড়বে।অথচ এস আর ট্রাক্টরস লিমিটেড কোম্পানী সব কিছু মিলিয়ে ৫০/৬০ লাখ টাকায় গাড়ি দিতে পারবে।
যাতে তাদের দূর্ণীতি সম্পর্কে জানতে না পারে সেজন্যই দূর্ণীতি গ্রস্হ চোরদের নির্দেশে সিকিউরিটি গার্ডদের দিয়ে আমাকে মারধর করে ধাক্কা দিয়ে রাস্তায় ফলে দেয়।সুতরাং প্রগতি ইন্ডাস্ট্রিজ বোর্ডের চেয়ারম্যান ডক্টর মনিরুজ্জামান ও এমডি আবুল কালাম আজাদ একজন দুর্নীতিবাজ ব্যক্তি।তারা এই প্রতিষ্ঠানকে ধ্বংস করে দিচ্ছে।আমি সরকারের প্রধান উপদেষ্টার কাছে অনুরোধ করবো,অতি দ্রুত এদের অপসারণ করে প্রগতির মত লাভজনক প্রতিষ্ঠানকে রক্ষা করা।
এব্যাপারে অভিযুক্ত! বিএসইসি ও প্রগতি ইন্ডাস্ট্রিজ বোর্ডের চেয়ারম্যান ডঃ মনিরুজ্জামান এবং প্রগতির এমডি আবুল কালাম আযাদের কাছে বার বার মোবাইল রিসিভ না করায় বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।