সুনামগঞ্জের ছাতক উপজেলার জাহিদপুর পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ নাজমুল ইসলাম ও এএসআই রিপন আহমদের বিরুদ্ধে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত মিথ্যা অভিযোগ দায়ের করায় এলাকায় তীব্র ক্ষোভ ও নিন্দার সৃষ্টি হয়েছে।
জানা গেছে, ছাতক উপজেলার দোলারবাজার ইউনিয়নের মঈনপুর গ্রামের মিনু বেগম ও একই গ্রামের তাজুল ইসলামের পুত্র শানুর আলী গংদের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে একটি ভূমি সংক্রান্ত বিরোধ চলে আসছিল। এ বিষয়ে মিনু বেগম জাহিদপুর পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগটি গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনায় নিয়ে তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ নাজমুল ইসলাম ঘটনাটি তদন্তের জন্য এএসআই রিপন আহমদকে সরেজমিনে পাঠান।
তদন্ত কেন্দ্রে স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তি ও উভয় পক্ষের উপস্থিতিতে একটি আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় বাদিনী মিনু বেগম নিজের মোবাইল ফোনে ভিডিও ধারণ করতে চাইলে উপস্থিত মুরুব্বিরা আপত্তি জানান এবং প্রশাসনিক অনুমতি ছাড়া ভিডিও না করার জন্য পরামর্শ দেন। কিন্তু তিনি তাদের কথা অমান্য করে ভিডিও ধারণ চালিয়ে যান এবং উচ্চস্বরে বলেন, প্রশাসনের অফিস তাতে কী হইল, আমি ভিডিও করব। এ নিয়ে বাদিনীর সঙ্গে উপস্থিতদের কথাকাটাকাটি হলে তিনি আলোচনা বর্জন করে ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন।
পরে মিনু বেগম পুলিশ সুপারের কাছে একটি দরখাস্ত দিয়ে তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ ও এএসআই’র বিরুদ্ধে টাকা লেনদেনের অভিযোগ তোলেন, যা তদন্ত কেন্দ্রসহ এলাকাবাসীর মধ্যে বিস্ময় ও ক্ষোভের জন্ম দেয়।
স্থানীয়রা জানান, মিনু বেগম অহেতুক মিথ্যা মামলা-মোকদ্দমা করে সাধারণ মানুষকে হয়রানি করছেন এবং পুলিশ সদস্যদের বিরুদ্ধেও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত অভিযোগ দিচ্ছেন, যা সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন।
এ বিষয়ে তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ নাজমুল ইসলাম বলেন, আমরা নিরপেক্ষভাবে উভয় পক্ষকে নিয়ে বিরোধ মীমাংসার চেষ্টা করেছি। কিন্তু বাদিনী কাল্পনিক অভিযোগ দিয়ে আমাদের বিরুদ্ধে বিভ্রান্তিকর তথ্য দিয়েছেন।
এলাকাবাসীর দাবি, এ ধরনের মিথ্যা অভিযোগ দিয়ে পুলিশ প্রশাসনকে বিব্রত করা অত্যন্ত দুঃখজনক। তারা ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তদন্ত এবং ভবিষ্যতে এ ধরনের অপচেষ্টা রোধে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানান।
WWW.DESHYNEWS24.COM/REGISTRATION NO-52472/2024
Leave a Reply