সীতাকুণ্ড( চট্টগ্রাম) প্রতিনিধিঃ
সীতাকুণ্ডের ঘোড়ামারা ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় ভাড়াটে সন্ত্রাসীদের পাহাড়ায় রাতভর মিস্ত্রী লাগিয়ে সীমানা পিলার দিয়ে রাকিব শিপ ব্রেকিং লিঃ এর দখলের প্রক্রিয়া চালাচ্ছে অনেক বিতর্কিত পাশ্ববর্তী জায়গায় মর্ডান ব্রিক্স এর মালিক পক্ষ। এব্যাপারে সীতাকুণ্ড থানা অভিযোগ ও চট্টগ্রাম কোর্টে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
রাকিব শিপ ব্রেকিং এর পক্ষে অন্জন বড়ুয়া বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেন। অভিযোগে জানা যায়, সীতাকুণ্ড থানাধীন সোনাইছড়ি ইউনিয়নের ঘোড়ামারা ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের পূর্বপাশে মর্ডান ব্রিক্স লিঃ সংলগ্ন পূর্বে বিভিন্ন দলিলে ০৬/০৬/২০১০ ইং ও ০১/০৮/২০১০ ইংরেজী ৫৮৮৯ নং ও ৭৭৪০ নং কবলা সীতাকুন্ড কুমিরা লট - ৮ মৌজার আর এস খতিয়ান - ৪৮ ও আরএস ২৮ দাগের এবং বিএস ২৪ দাগের আন্দর ১৯৫ শতক জমি ক্রয় করে সীমানা নির্ধারন করে ভোগ দখলে থেকে কেয়ারটেকার আবুল মনছুরের মাধ্যমে দেখাশুনা করে আসছে। ২৩ সালে কেয়ার টেকার আবুল মনছুর মারা গেলে জায়গাটি অরক্ষিত হয়ে পড়লে পাশ্ববর্তী জায়গা মর্ডান বিক্সের মালিক পক্ষ সন্ত্রাসী ভাড়া করে প্রথমে দখলের চেষ্টা চালায়। তখন
জায়গার মালিকের অভিযোগে পুলিশ দখল রুখে দেয়ায় ব্যর্থ হন। উক্ত দখলবাজ মর্ডানের মালিক পক্ষ ইতিপূর্বে পূনরায় দখলে মেতে উঠে। তারা অতিরিক্ত শ্রমিক নিয়ে এলাকার ছাত্রদলের নেতা সাব্বির হোসেন সানি ও মাহফুজের নেতৃত্বে সন্ত্রাসীদের কে ভাড়া করে পাহারারত অবস্হায় রাতভর দখলের উদ্দেশ্যে সীমানা পিলার নির্মান করে দখলে মেতে উঠে।
দখলবাজরা দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে দখল যজ্ঞ চালালে ভয়ে
প্রকৃত জায়গার মালিক পক্ষ বাধা দেয়ার সাহস না পেয়ে থানাকে জানান,পুলিশ দেখে নির্মান কাজ কিছুক্ষন বন্ধ রেখে পূনরায় সীমানা পিলার নির্মান কাজ শুরু করেন তারা।
নিরুপায় হয়ে জায়গার মালিক রাকিব শিপ ব্রেকিং কর্তৃপক্ষের পক্ষে অন্জন বড়ুয়া বাদী হয়ে গত ৩ মে ২০২৫ ইং চট্টগ্রাম কোর্টে মর্ডান ব্রিক্সের জিএম মোঃ আমিন ও ম্যানেজার আমান উল্লাহ কে বিবাদী করে একটি মামলা দায়ের করেছেন। বিজ্ঞ বিচারক সীতাকুণ্ড মডেল থানার ওসিকে তদন্তের মাধ্যমে প্রতিবেদন দাখিল ও নির্মাণের কাজ বন্ধ রেখে শান্তিশৃঙ্খলা বজায় রাখার নির্দেশ দেন।
উল্লেখ্য যে,মর্ডান ব্রিক্সের মালিকের বাড়ী বান্দরবান জেলার নাইক্ষংছড়ি উপজেলা। তার ব্রিক্স কারখানায় অবৈধ রোহিঙ্গার আস্তানা,সম্প্রতি অবৈধভাবে পাহাড় কাটতে গিয়ে পাহাড় ধ্বসে দূর্ঘটনায় ৪ জন মারা গেলে তাদের ঠিকানা পাওয়া যায়নি,পরে রোহিঙ্গা থেকে ওয়ারিশরা মর্গে এসে লাশ গ্রহন করে।তারা ভূমি দস্যু,পাহাড় খেকো,খুনখারাপীতে লিপ্ত, দাঙ্গাবাজ। কিছু হলেই রোহিঙ্গাদের লেলিয়ে দেয়,ক্ষতিগ্রহস্হ রাকিব শিপ ইয়ার্ডের মালিক এই ভূমিদস্যু দাঙ্গাবাজের বিরুদ্ধে আইনী সহায়তা চেয়েছেন।