বর্তমান কৃষিকে ভবিষ্যৎ বাংলাদেশের জন্য টেকসই ও নিরাপদ বাণিজ্যিক কৃষিতে রূপান্তরের মাধ্যমে খাদ্য ও পুষ্টি নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণের লক্ষ্যে কৃষিখাতে নেওয়া প্রকল্প ‘প্রোগ্রাম অন এগ্রিকালচার অ্যান্ড রুরাল ট্রান্সফরমেশন ফর নিউট্রিশন এন্টারপ্রেনরশিপ অ্যান্ড রেসিলিয়েন্স ইন বাংলাদেশ’ (পার্টনার) প্রোগ্রামের আওতায় ‘পার্টনার ফিল্ড স্কুল কংগ্রেস’ সীতাকুণ্ড উপজেলা পরিষদ চত্ত্বর হল রুমে অনুষ্ঠিত হয়। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর, সীতাকুণ্ডের উদ্যােগে ফিল্ড স্কুল কংগ্রেসে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রঘুনাথ নাহা, অতিরিক্ত উপপরিচালক (শস্য), কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর, আগ্রাবাদ, চট্টগ্রাম। সীতাকুণ্ড উপজেলা নির্বাহি অফিসার মো: ফখরুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ মোঃ হাবিবুল্লাহ্, কৃষি সম্প্রসারণ অফিসার ইসতিয়াক আহমেদ, উপজেলা সমবায় অফিসার মঞ্জুমান আরা বেগম, সীতাকুন্ড প্রেসক্লাবের সহ সভাপতি খায়রুল ইসলাম সহ অন্যান্যরা।
এ কংগ্রেসে একশত কৃষক কৃষাণী, জনপ্রতিনিধি, প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক্স মিডিয়ার সাংবাদিকসহ অন্যান্য সুধীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। প্রকল্পের আওতায় প্রতিটি ইউনিয়নে সাধারণত ৭ টি স্কুল থাকবে, এতে ২৫ জন কৃষক কৃষাণী অনুর্ভুক্ত থাকবেন। তার মধ্যে ৩০ শতাংশ মহিলা থাকবে।স্কুলের মাধ্যমে কৃষক-কৃষাণীদের নিরাপদ খাদ্য উৎপাদন ও বাজারজাতকরণের উপর পরামর্শ, প্রশিক্ষন প্রদান করা পার্টনার প্রকল্পের অন্যতম কাজ।
পার্টনার প্রকল্পটি পাঁচ বছর মেয়াদে বাস্তবায়ন করা হবে। ৬৪ জেলার ৪৯৫ উপজেলায় পার্টনার প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হচ্ছে জুলাই ২০২৩ থেকে ২০২৮ সালের জুন সময়সীমায়।
এই মেগা প্রকল্পের উল্লেখযোগ্য কার্যক্রমের মধ্যে রয়েছে উত্তম কৃষিচর্চা সার্টিফিকেশনের মাধ্যমে তিন লাখ হেক্টর ফল ও সবজি আবাদি জমি বৃদ্ধি; জলবায়ু অভিঘাত সহনশীল উচ্চ ফলনশীল নতুন ধান ও অন্যান্য দানাদার ফসলের জাত উদ্ভাবনসহ মোট চার লাখ আবাদি জমির পরিমাণ বৃদ্ধি; উন্নত ও দক্ষ সেচ প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে এক লাখ হেক্টর নতুন আবাদি জমি সেচের আওতায় আনয়ন; স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয়ে দেশব্যাপী দুই কোটি ২৭ লাখ ৫৩ হাজার ৩২১টি কৃষক পরিবারকে ‘কৃষক স্মার্টকার্ড’ প্রদানের মাধ্যমে ডিজিটাল কৃষি সেবার সম্প্রসারণ।
এছাড়া, ই-ভাউচারে প্রদান করা হবে ভর্তুকি, কৃষকদের জন্য তৈরি হবে কৃষক ডিজিটাল ফিনান্সিয়াল সিস্টেম। মোবাইল প্ল্যান্ট ক্লিনিকের মাধ্যমে কৃষি সম্প্রসারণ সেবাকে কৃষকের দোরগড়ায় পৌঁছে দেওয়া হবে। ড্রিপ, স্প্রিংকলার, এডব্লিউডি ও ভূ-গর্ভস্থ সেচ নালাসহ সৌরশক্তি ব্যবহার করে সেচের পানি ব্যবস্থাপনায় যুগান্তকারী পরিবর্তনের মাধ্যমে পানির অপচয় হ্রাস করা করা হবে।
WWW.DESHYNEWS24.COM/REGISTRATION NO-52472/2024
Leave a Reply