চন্দনাইশের কৃতিসন্তান, উপমহাদেশের প্রখ্যাত লেখক, ঔপন্যাসিক, কবি, চিন্তাবিদ ও বুদ্ধিজীবী আহমদ ছফার ৮৩তম জন্মদিন উপলক্ষে দোয়া মাহফিল, আলোচনা সভা ও বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সোমবার (৩০ জুন) বিকেলে চন্দনাইশ সাহিত্যিক আহমদ ছফা পরিষদের উদ্যোগে দক্ষিণ গাছবাড়িয়া রহমানিয়া আহমদিয়া এ.এস (স্বতন্ত্র) ইবতেদায়ী মাদ্রাসা, এতিমখানা ও হেফজখানায় দিনব্যাপী এই কর্মসূচি আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানের শুরুতে খতমে কোরআন ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। এরপর বৃক্ষরোপণ ও বৃক্ষচারা বিতরণ করা হয়।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন চন্দনাইশ সাহিত্যিক আহমদ ছফা পরিষদের সভাপতি, লেখক ও গবেষক শাহজাহান আজাদ। সঞ্চালনায় ছিলেন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক ও সাংবাদিক মো. নুরুল আলম।
প্রধান অতিথি ছিলেন পটিয়া হুলাইন ছালেহ্-নূর ডিগ্রি কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মো. তৈয়বুর রহমান। প্রধান বক্তার বক্তব্য রাখেন স্বপ্ন নগর বিদ্যানিকেতনের সমন্বয়ক ও ছড়াকার সুজা আল মামুন।
বিশেষ অতিথি ছিলেন সাহিত্যিক আহমদ ছফার নাতি মো. শহিদুল ইসলাম, লোককবি ও গীতিকার নুরুল আলম ম্যানেজার, সংগঠক মো. টিপু সুলতান, মানবাধিকার সংগঠক মো. রাজিব হোসেন রিফাত, মাদ্রাসা কমিটির সদস্য নূর মোহাম্মদ, কাজী মো. হোসাইন, সমাজসেবক নাছির উদ্দীন, সংগঠক লোকমান হাকিম, সাংবাদিক মো. জয়নাল আবেদীন, হাফেজ মাওলানা মো. জুনায়েদ, চৌধুরী তাওসীফ ও কাজী মো. ইমতিয়াজসহ আরও অনেকে।
আলোচনা সভায় বক্তারা বলেন, আহমদ ছফা শুধু একজন সাহিত্যিক নন, তিনি ছিলেন সমাজের বিবেক। তাঁর সাহসী লেখনী বাংলা সাহিত্যকে দিয়েছে নতুন ভাষা, নতুন দিশা। অন্যায়-অবিচারের বিরুদ্ধে তিনি ছিলেন নির্ভীক কণ্ঠস্বর। কখনও কারো তোষামোদ করেননি, বরং সত্য বলার জন্য জীবনের সব বাধা মোকাবেলা করেছেন।
বক্তারা আরও বলেন, আহমদ ছফার মতো প্রথাবিরোধী, প্রতিবাদী লেখক বাংলা সাহিত্যে বিরল। তাঁর স্মৃতি ধরে রাখতে চন্দনাইশ বা চট্টগ্রামে তাঁর নামে একটি একাডেমি প্রতিষ্ঠা এখন সময়ের দাবি।
অনুষ্ঠান শেষে এতিমখানার শিক্ষার্থীদের মাঝে খাবার বিতরণ করা হয়।
WWW.DESHYNEWS24.COM/REGISTRATION NO-52472/2024
Leave a Reply