বিশেষ প্রতিনিধিঃ
চট্টগ্রাম শ্যামলী আইডিল পলিটেকনিকের শিক্ষার্থী সাব্বির হত্যাকারীদের গ্রেপ্তারের দাবি জানিয়েছেন স্বজন এবং এলাকাবাসী।
শুক্রবার চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের সামনে বিক্ষোভ মিছিল এবং মানববন্ধনে এ দাবি জানানো হয়। বিকেলে নগরীর জামালখান মোড় থেকে বিক্ষোভ মিছিলটি শুরু হয়। পরে প্রেস ক্লাব চত্বরে গিয়ে মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন নিহত সাব্বিরের বাবা ইসহাক, বড় বোন আঁখি বেগম, ভগ্নিপতি তাইজুল ইসলাম, খালাতো ভাই ইকরাম, বন্ধু নাহিয়ান এবং হালিশহর থানা ছাত্র প্রতিনিধি আজিজুল হাকিম দিগন্তসহ বিভিন্ন স্তরের মানুষ। এসময় তারা অভিযোগ করেন, সাব্বির হত্যা মামলায় এজাহারভুক্ত আসামী আতাউল, বিজয়, রাফসানসহ অন্য আসামীরা প্রকাশ্যে এলাকায় ঘুরাঘুরি করছে। কিন্তু পুলিশ তাদের গ্রেপ্তার করছে না। শুধু তাই নয়, ঘটনার পরপর স্থানীয়রা অভিযুক্ত কয়েকজনকে পুলিশকে ধরিয়ে দিলেও, কিভাবে তারা একমাসের মধ্যে জামিনে বের হয়ে যায়, সেই প্রশ্নও রাখেন বক্তারা। তাই আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে প্রধান তিন আসামিকে গ্রেফতারের দাবি জানান তারা। অন্যথায় নগরীর বিশ্বরোড অবরোধ, হালিশহর থানা ঘেরাও এবং পুলিশ কমিশনার বরাবরে স্মারকলিপি প্রদানসহ কঠোর কর্মসূচী ঘোষণা করা হবে বলেও হুশিয়ারি দেয়া হয় মানববন্ধন থেকে। উল্লেখ্য, গত ১৬ মে ২০২৫ ইং শুক্রবার দুপুর ২টায় নগরীর নয়াবাজার বিশ্বরোড পিসি পার্কের সামনে কিশোর গ্যাংয়ের হামলায় মারাত্মক আহত হয় সাব্বির। পরে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ে ছয়দিন পর ২১ মে ২০২৫ইং পৃথিবীর মায়া ত্যাগ করেন কলেজ শিক্ষার্থী সাব্বির।
গত ১৬ ই মে হালিশহর নয়াবাজার বিশ্বরোড পিসি পার্কের পাশে পাইথন নামের কিশোর গ্যাং শ্যামলী আইডিয়াল কলেজ একাদশ শ্রেণির প্রথম বর্ষের ছাত্র ওয়াহিদুল হক সাব্বিরকে আতাউল বিজয় ও রাফসান এলোপাতাড়ি চুরি দ্বারা আঘাত করে পেটের নাড়িভুঁড়ি বের করে ফেলে। ভিকটিম এই নাড়ি বুড়ি ধরে রাস্তার পূর্ব পাশ থেকে পশ্চিম পাশে চলে যায়।কিশোর গ্যাং এর সদস্যরা ভিকটিমকে সেই পশ্চিম পাশে গিয়েও বিভিন্ন বাটাম দিয়ে মারধর করে। পূর্ব পরিকল্পিতভাবে আবিদ সেখানে উপস্থিত থাকে এবং মৃত্যু নিশ্চিত করার জন্য সাব্বিরকে মেডিকেল নেয়ার পরেও সে মেডিকেল উপস্থিত হয়। ভিকটিম চারজনের নাম বলে যায় সেই চারজনকে পর্যন্ত পুলিশ ধরতে পারে নাই। 164 ধারায় একজন আসামি ১৬ জনের নাম বলেছে সেখান থেকেও একজন ধরতে পারে নাই।