কাইয়ুম চৌধুরী,সীতাকুণ্ডঃ
চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড উপজেলার ৯টি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ৫ আগষ্টের পর থেকে পালিয়ে থাকায়, পরিষদে না আসায় নাগরিক সার্টিফিকেট, ওয়ারিশ সার্টিফিকেট, জন্ম নিবন্ধন, ট্রেড লাইসেন্স সহ প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সময়মতো না পাওয়ায় জনগণের সীমাহীন দূর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। ফলে ইউনিয়ন পরিষদগুলো সম্পুর্ন অকার্যকর হয়ে পড়েছে। জনগণকে সেবা থেকে বঞ্চিত করে চরম ভোগান্তিতে ফেলার প্রতিবাদে এবং সরকারের পক্ষ থেকে দ্রুত ব্যবস্থা নিয়ে জনগনের সেবা নিশ্চিত করতে সীতাকুণ্ড উপজেলার ৯ ইউনিয়নের সর্বস্তরের জনগন উপজেলা চত্বরে মানববন্ধ করে ইউএনওর কাছে স্বারকলিপি প্রদান করে। আজ মঙ্গলবার (১৫ জুলাই) সকাল ১১ টায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কার্যালয় চত্বরে মানববন্ধন করে ইউএনও কে লিখিত স্বারকলিপি পেশ করেন উপজেলা বিএনপির নেতৃবৃন্দ।
মানববন্ধনকালে বক্তব্য রাখেন
কাজী মোঃ সালাউদ্দিন, মোঃ মোরছালিন, জহুরুল আলম জহুর, কাজী মহিউদ্দিন, জয়নাল আবেদীন দুলাল, সালেহ আহমদ সলু,বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল মনছুর,সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান নাজমুল নাহার নেলী।
মানববন্ধনে উপস্হিত ছিলেন
সৈয়দপুর ইউনিয়নের কাজী এনামুল বারী, এ্যাড,আইনুল কামাল, বারৈয়াঢালা ইউনিয়ন আলাউদ্দিন মাছুম,মুরাদপুর ইউনিয়ন আকবর হোসেন, সরোয়ার কামাল,বাড়বকুণ্ড ইউনিয়ন আবুল কালাম আজাদ, শাহদাত হোসেন রাসেল,বাঁশবাড়ীয়া ইউনিয়ন মোঃ ছালামত উল্লাহ, মোঃ ইদ্রিস,কুমিরা ইউনিয়ন নুরউদ্দিন মোঃ জাহাঙ্গীর চৌধুরী (সাবেক চেয়ারম্যান), নাজিম উদ্দিন, মোঃ রবিউল হোসেন,ভাটিয়ারী ইউনিয়ন নূরুল আনোয়ার( সাবেক চেয়ারম্যান), খুরশেদ আলম,
সলিমপুর ইউনিয়ন জাহাঙ্গীর আলম, মোঃ নাজিম উদ্দিন সহ উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের কয়েকশত সাধারণ জনগন এই মানববন্ধনে অংশগ্রহন করেন।
মানববন্ধনে উপস্থিত নেতৃবৃন্দরা বলেন, ৫ আগষ্ট স্বৈরাচার সরকারের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পালিয়ে যাওয়ার
পর অবৈধ রাতের আধারে নির্বাচিত চেয়ারম্যানগন নিজেদের অপকর্মের ভয়ে পালিয়ে থেকে জনগণকে সেবা থেকে বঞ্চিত করছে। জনগণ কোনো সেবা পাচ্ছে না- জন্ম-মৃত্যু সনদ,ট্রেড লাইসেন্স, ওয়ারিশ সনদ, প্রত্যয়নপত্র, সরকারি ভাতার যাচাই-বাছাই বন্ধ হয়ে যায়। স্থানীয় উন্নয়ন প্রকল্প, রাস্তাঘাট মেরামত, ত্রাণ বিতরণ, ভিজিডি/ভিজিএফ কার্ড বিতরণ সব অচল হয়ে পড়েছে। গরীব মানুষ, বয়স্ক, বিধবা, প্রতিবন্ধী ভাতা প্রার্থী- সবার ন্যায্য অধিকার থমকে গেছে। ইউনিয়ন পরিষদে গিয়ে জনগণ তালা ঝুলতে দেখে ফিরে আসছে। একটি নির্বাচিত সরকার ব্যবস্থার প্রধান শর্ত হলো জনগণের প্রতি দায়িত্বশীলতা। কিন্তু যাদের জনগণ ভোট দিয়ে নির্বাচিত করেনি কিন্তু ফ্যাসিবাদী আওয়ামী দুঃশাসন শাসনের আমলে বিনা ভোটে চেয়ারম্যান পদ দখল করার কারণে তারা নিজেরাই জনগণকে ফেলে পালিয়েছে। কিছুদিন আগে তারা পরিষদে আসার জন্য সীতাকুণ্ডের ৭ চেয়ারম্যান আদালতে রীট করে দায়িত্ব পেতে। আদালত প্রজ্ঞাপন প্রকাশ রীটকারী চেয়ারম্যানদের পরিষদের আসার নির্দেশ দেওয়ার পরও কোন চেয়ারম্যান অফিসে এসে দায়িত্ব পালন করছেননা। অথচ তাদের করা রীটের কারণে প্রশাসনিক বিকল্প ব্যবস্থাও আদালতের নির্দেশে এখন বন্ধ। জনগণ বিভিন্ন ধরনের সেবা থাকে বঞ্চিত। যেসব চেয়ারম্যান পলাতক বা জেলহাজতে তাদের স্থলে অস্থায়ী প্রশাসক প্রতিনিধি নিয়োগ করে ইউনিয়নের কাজ চালু করার জন্য সরকারের প্রতি জোরালো আহ্বান জানান জনসাধারণ।
,অভিলম্বে জনগনের সেবাদানে প্রশাসনিক ব্যবস্হা পূনরায় চালু করার জোড় দাবী জানানো হয় স্বারকলিপিতে।
WWW.DESHYNEWS24.COM/REGISTRATION NO-52472/2024
Leave a Reply