মো.দিদারুল আলম।।
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ২০১৮ সালে ভোটগ্রহণের রাতে নোয়াখালীর সুবর্ণচরে স্বামী-সন্তানকে বেঁধে রেখে চল্লিশোর্ধ্ব নারীকে দলবদ্ধ ধর্ষণ ও নির্যাতনের ঘটনায় ১০ আসামিকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে প্রত্যেককে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
এ ছাড়া আরও ৬ আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড এবং ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে, অনাদায়ে ২ বছরের কারাদণ্ড প্রদান করা হয়েছে।
নোয়াখালী নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-২ এর বিচারক ফাতেমা ফেরদৌস আজ সোমবার এই রায় ঘোষণা করেন। গত ২৯ নভেম্বর অধিকতর যুক্তিতর্ক শেষে ১৬ জানুয়ারি রায়ের দিন ঘোষণা করেন বিচারক। পরে ১৬ জানুয়ারি রায়ের জন্য নতুন তারিখ সোমবার (৫ জানুয়ারি) ঘোষণা করেন বিচারক।
আলোচিত এই মামলায় বলা হয়েছে, ২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বর জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোটের দিন রাতে উপজেলার মধ্যবাগ্যা গ্রামে চল্লিশোর্ধ্ব ওই নারীর ঘরে ঢুকে স্বামী-সন্তানকে বেঁধে রেখে তাঁকে দলবদ্ধ ধর্ষণ ও অমানুষিক নির্যাতন করা হয়।চার সন্তানের ওই জননীর অভিযোগ, ভোটকেন্দ্রে কয়েকজন ব্যক্তির সঙ্গে বাকবিতণ্ডার জেরে এই ঘটনা ঘটানো হয়।
পরদিন ওই নারীর স্বামী বাদী হয়ে চরজব্বার থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা করেন। ২০১৯ সালের ২৭ মার্চ সুবর্ণচর উপজেলা আওয়ামী লীগের বহিষ্কৃত প্রচার সম্পাদক ও সাবেক ইউপি সদস্য রুহুল আমিনসহ ১৬ জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।
এ মামলায় ২৩ জন সাক্ষ্য দিয়েছেন। এ ছাড়া আসামিপক্ষ চারজন সাফাই সাক্ষী উপস্থাপন করেছে।
মামলার ১৬ আসামির মধ্যে ১৫ জন কারাগারে আছেন। কারাগারে থাকা আসামিরা হলেন—সুবর্ণচর উপজেলার চরজুবলি ইউনিয়নের মধ্য ব্যাগ্যা গ্রামের মো. সোহেল (৩৮), মো. হানিফ (৩০), স্বপন (৪২), মো. চৌধুরী (২৫), মো. বাদশা আলম বসু (৪০), আবুল হোসেন আবু (৪০), মোশারফ (৩৫), মো. সালাউদ্দিন (৩২), মো. রুহুল আমিন (৪০), মো. জসিম উদ্দিন (৩২), মো. হাসান আলী বুলু (৪৫), মো. মিন্টু ওরফে হেলাল (২৮), মো. মুরাদ (২৮), মো. জামাল ওরফে হেঞ্জু মাঝি (২৮) ও মো. সোহেল (২৮)।
এছাড়া আসামি মো. মিন্টু ওরফে হেলাল (২৮) নামে এক আসামি ঘটনার পর থেকে পলাতক। আসামিদের মধ্যে ৮ জন ১৬৪ ধারায় আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।
WWW.DESHYNEWS24.COM/REGISTRATION NO-52472/2024
Leave a Reply